Nutrition Notes
Class 12 Nutrition Long Question
Class 12 Nutrition Notes
খাদ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যগুলি লেখ।
উত্তর:
খাদ্য সংরক্ষণ:- যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে কোনো খাদ্যের স্বাদ, বর্ন, গন্ধ ও পুষ্টি মূল্য বজায় রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় রাখা যায়, তাকেই খাদ্য সংরক্ষন বলে।
উদ্দেশ্য:- বিভিন্ন প্রকার উদ্দেশ্যে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য আলোচনা করা হলো
i. ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু প্রতিরোধ:- বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু খাদ্যস্থ উৎসেচক কীটপতঙ্গ ও বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর আক্রমণ থেকে খাদ্যবস্তুকে রক্ষা করার জন্য খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়।
ii. খাদ্যের সংরক্ষণ ও বৈচিত্র্য:- খাদ্যকে সংরক্ষণের মাধ্যমে তার বৈচিত্র্য বাড়িয়ে তোলা যায় যেমন আমকে বিভিন্ন উপায়ে সংরক্ষণ করা হয় যেমন আচার, জ্যাম, জেলি, স্কোয়াশ ইত্যাদি। এর ফলে সারাবছর নানাভাবে আমের স্বাদ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
iii. খাদ্যের অপচয় রোধ:- বিভিন্ন প্রকার খাদ্যবস্তু সংরক্ষণের মাধ্যমে তার অপচয় রোধ করা যায়, এবং তার সাথে সাথে ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য মজুত থাকে।
iv. প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধ:- সঠিকভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করার ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করা যায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে খাদ্যের অভাব দেখা দেয় তা খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে মেটানো যায়।
v. খাদ্যের জীবনকাল বৃদ্ধি:- ঋতুভিত্তিক ফল ও অন্যান্য খাবার গুলি সংরক্ষণ করে রাখলে মরশুম চলে যাওয়া সত্ত্বেও এই সমস্ত ফল বা খাদ্যগুলির যোগান দেওয়া সম্ভব হয়।
খাদ্য পচন এর বিভিন্ন কারণ
খাদ্য পচন এর বিভিন্ন কারণগুলি লেখ।
অথবা,
খাদ্য কী কী কারনে নষ্ট হয়?
উত্তর:-
খাদ্য পচনের কারণ:- খাদ্যবস্তু নানান কারণে নষ্ট হয় বা পচে যায়। খাদ্য নষ্ট হওয়ার বিভিন্ন কারণগুলি আলোচনা করা হল
A. জীবাণুর আক্রমণ:- খাদ্যবস্তু নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হল বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ঈস্ট প্রভৃতি জীবাণুর আক্রমণ।
i. ব্যাকটেরিয়া:- বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ফসল ও খাদ্যের পচন ঘটায়। ব্যাকটেরিয়া 0°C-80°C তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে। ফুলের রেফ্রিজারেটরে থাকে খাদ্য সামগ্রী ও নষ্ট করে দেয়। খাদ্যবস্তুকে বিষাক্ত করে মানবদেহে উদরাময়, গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস ইত্যাদি রোগ ঘটায়।
ii. ছত্রাক:- ছত্রাক স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় থাকে। এগুলি সাধারনত 25°C-30°C তাপমাত্রায় ভালো বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক শস্যের নানাবিধ ক্ষতি করে থাকে। ছত্রাক দুধ, মাখন, জেলি, জ্যাম, শাক সবজি, রুটি, মাংস, রান্না করা খাবার নষ্ট করে দেয়।
iii. ঈস্ট:- ঈস্ট সন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গুড়, চিনি, মধু, সিরাপ প্রভৃতিকে নষ্ট করে।
B. উৎসেচক:- খাদ্যের মধ্যে থাকা উৎসেচক অনেক সময় জলীয় বাষ্প, উত্তাপ এবং আলোর প্রভাবে উদ্দীপিত হয়। এই উদ্দীপিত উৎসেচকগুলি খাদ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটায়। এই কারণে খাদ্যমধ্যস্থ অম্ল বিশ্লিষ্ট হয়ে খাদ্যসামগ্রীর পচনা ঘটায়।
C. কীট পতঙ্গ ও অন্যান্য প্রাণী:- বিভিন্ন ধরনের কীট পতঙ্গ, ইদুর, গরু, ছাগল ইত্যাদি প্রাণীরা গুদামজাত ও ক্ষেতের খাদ্য সামগ্রী খেয়ে নষ্ট করে। তাছাড়া এরা খাদ্যের উপর মলমূত্র ত্যাগ করে এমন অবস্থার সৃষ্টি করে যা ঐ সকল খাদ্য সামগ্রী মানুষের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। খাদ্য ঠিকমতো সংরক্ষণ না করলে বিভিন্ন পোকামাকড় এবং পুশুপাখি নানারকম জীবাণু ছড়ায় যার ফলে পরোক্ষ ভাবে এরা খাদ্যবস্তুকে নষ্ট করে তোলে।
D. ভৌত ও রাসায়নিক প্রভাবক:- বিভিন্ন ধরনের ভৌত প্রভাবক যেমন আলো, উষ্ণতা এবং রাসায়নিক প্রভাবক যেমন অক্সিজেন, বিভিন্ন ধাতব পদার্থ প্রভৃতির উপস্থিতিতে খাদ্য বিনষ্ট হয়।
E. আবরণ বিনষ্টকরণ:- বিভিন্ন প্রকার ফল ও দানাশস্যের বাইরের আবরণ, ডিমের খোলা ইত্যাদি কোনো কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে, ওই স্থানে সহজেই ইস্টের সংক্রমণ ঘটে। ফলে ইস্টের ক্রিয়ায় আঘাতপ্রাপ্ত স্থান পচতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ওই পচন খাদ্যের সমগ্র অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
hs nutrition notes
class 12 nutrition notes
food preservation methods
causes of food spoilage
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.