Class 11 Nutrition Long Question WBCHSE
ABCD Method
Anthropometric Measurements
BMI নির্ণয়ের উদ্দেশ্য
ClassRoom সকলকে স্বাগত। একাদশ শ্রেণীর পুষ্টিবিজ্ঞান(Nutrition) বিষয় থেকে রচনাধর্মী প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল। এখানে যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরগুলি দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল পুষ্টির মান নির্ণয়ে ABCD method, অ্যান্থ্রোপোমেট্রিক পরিমাপ, BMI নির্ণয়ের উদ্দেশ্য এবং BMI ও পুষ্টিগত অবস্থার সম্পর্ক
পুষ্টির মান A B C D method টি সম্পর্কে লেখাে।
অথবা,
একজন ব্যক্তির পুষ্টির মান যথাযথ কিনা তা কীভাবে বুঝবে?
পুষ্টির মান নির্ণয়ের জন্য প্রধানত যে চারটি পদ্ধতির ওপর নির্ভর হয় সেগুলি হল -
i. Anthropometric Assessment- (অ্যান্থ্রোপোমেট্রিক পরিমাপ)
ii. Biochemical Assessment- (জৈব রাসায়নিক মূল্যায়ন)
iii. Clinical Assessment (চিকিৎসাশাস্ত্রগত মূল্যায়ন)
iv. Dietary Survey Method (খাদ্য নিরীক্ষা পদ্ধতি)
এই চারটি পদ্ধতির ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী এই পদ্ধতিগুলি কে একত্রে A B C D method বলে।
নিম্নে এই পদ্ধতিগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল:-
I. Anthropometric Assessment (অ্যানথ্রোপােমেট্রিক পরিমাপ):- এই পদ্ধতিতে পুষ্টিমান নির্ধারণ করার সময়দৈহিক ওজন ও উচ্চতা, মধ্য বাহুর পরিধি, মাথা ও বুকের মাপ, ত্বকের ভাঁজ, দেহভর সূচক, কোমর ও নিতম্বের পরিধির অনুপাত ইত্যাদির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সুস্থ মানুষের তুলনায় পরিমাপ ভিন্ন হলে, তা অপুষ্টির সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।
II. Biochemical Assessment- (জৈব রাসায়নিক মূল্যায়ন):- এই পদ্ধতিতে বায়ােকেমিক্যাল ল্যাবরেটরী বা জৈবরাসায়নিক গবেষণাগারে ব্যক্তির রক্ত, মল ও মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করে বােঝা যায় ব্যক্তির দেহে অপুষ্টি রয়েছে কিনা। যেমন, রক্তের প্লাজমা প্রােটিন এর মাত্রা নিরুপন করে ব্যক্তির দেহে প্রােটিনের অভাব আছে কিনা তা নির্ধারণ করা যায়। এই পদ্ধতি একজন ব্যক্তির পুষ্টির মান নির্ণয়ে কার্যকরী তবে জনগােষ্ঠীর পুষ্টিমান নির্ণয়ে এই পদ্ধতি তেমন ফলপ্রসূ নয়৷
III. Clinical Assessment (চিকিৎসাশাস্ত্রগত মূল্যায়ন):- এই পদ্ধতির দ্বারা কোনাে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা মূল্যায়নের মাধ্যমে তার পুষ্টিগত অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। কোনাে ব্যক্তির ত্বক, মাথার চুল, জিভ, দাঁত, বহির্গঠন প্রভৃতির ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক না পুষ্টির অভাবজনিত কোনাে রােগে আক্রান্ত তা বােঝা যায়। যেমন –
a) যদি কোন ব্যক্তি ভগ্ন দেহ ও চর্মসার যুক্ত হন তাহলে বােঝা যায় তার ক্যালােরির অভাব ঘটেছে,
b) ত্বক অমসৃণ ও শুষ্ক হয় তাহলে বােঝা যায় তার ফলিক অ্যাসিড, লােহা, ভিটামিন B 12 এর অভাব ঘটেছে৷
c) ব্যক্তির জিহ্বাতে এবং ঠোঁটে ঘা হয়েছে কিনা তা দেখে বােঝা যায় রাইবােফ্ল্যাভিন এর ঘাটতি হয়েছে।
d) দাঁত ও অস্থি পরীক্ষার দ্বারা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D এর ঘাটতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
IV. Dietary Survey Method (খাদ্য নিরীক্ষা পদ্ধতি):- খাদ্য সমীক্ষা বা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে জাতীয়, আঞ্চলিক, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত স্তরে পুষ্টির মান জানা যায়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস, খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ, খাদ্য উপাদানের উৎস ইত্যাদি সম্বন্ধে জানা যায়। এ ছাড়া জানা যায় কোনাে অঞ্চলের মানুষের গৃহীত খাদ্যে কোনাে খাদ্য উপাদানের অভাব রয়েছে কিনা। খাদ্য নিরীক্ষার জন্য সাক্ষাৎকার পদ্ধতি, লগবুক পদ্ধতি প্রভৃতির সাহায্য নেওয়া হয়।
পুষ্টির মান নির্ণয়ে অ্যানথ্রোপােমেট্রিক পরিমাপ পদ্ধতির গুরুত্ব আলোচনা করো।
অথবা,
অ্যানথ্রোপােমেট্রিক পরিমাপের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে লেখো।
অ্যানথ্রোপােমেট্রিক পরিমাপ (Anthropometric Measurements):
বিভিন্ন দৈহিক পরিমাপের মাধ্যমে যখন পুষ্টির মান নির্ণয় করা হয়, তখন তাকে অ্যানথ্রোপােমেট্রিক পরিমাপ পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতিতে মানবদেহের যে সমস্ত বিষয়গুলির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় সেইগুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল -
i. দৈহিক ওজন পরিমাপ: এটি সব ধরনের সব বয়সের মানুষের জন্য পুষ্টিমান নির্ণয়ের সর্বাপেক্ষা উপযোগী পদ্ধতি। ওজন পরিমাপ যন্ত্রের সাহায্যে কোনো ব্যক্তির ওজন দেখে ওই ব্যক্তির বয়সের তুলনায় ওজন সঠিক আছে কিনা তা উপযুক্ত তালিকা থেকে নির্ধারণ করা যায়। যেমন, সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুর স্বাভাবিক ওজন হওয়া উচিত কমপক্ষে 2.5 কেজি। জন্মের এক বছর পরে শিশুর দৈহিক ওজন জন্মমুহূর্তের তিন হওয়া উচিত। যদি সঠিক মাত্রায় কোনো শিশু পুষ্টিলাভ করে থাকে তাহলে শিশুর ওজন এই হারে বাড়ে।
ii. উচ্চতা পরিমাপ: কোনো ব্যক্তির যথাযথ বৃদ্ধি তার দেহের উচ্চতা বা দৈর্ঘ্যের দ্বারা সূচিত হয়। যদিও ব্যক্তির উচ্চতা বা দৈর্ঘ্য জিনগত ও পরিবেশগত কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়, তবুও তা খাদ্য ও পুষ্টির দ্বারা প্রভাবিত হয়। প্রত্যেক ব্যক্তির উচ্চতা, বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট হওয়া উচিত। তা না হলে বুঝতে হবে ব্যক্তির বৃদ্ধি যথাযথ নয় এবং ব্যক্তিটি অপুষ্টিতে ভুগছে।
iii. মধ্যবাহুর পরিধি পরিমাপ: এই পদ্ধতিটি মূলত শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে পুষ্টির মান নির্ণয়ের জন্য একটি বিশেষ ফিতা ব্যবহার করা হয়। ব্যবহৃত ফিতাটি তিনটি অংশে বিভক্ত। প্রথমে 12.5 সেমি দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট লাল রঙের অংশ, তারপর 1.5 সেমি হলদে রঙের অংশ এবং বাকি সবুজ রঙের অংশ থাকে।
মাপ নেওয়ার পদ্ধতি: এই ফিতার সাহায্যে মাপ নেওয়ার জন্য শিশুর বাম বাহুর মাঝামাঝি অংশে ফিতার লাল প্রান্তটি জড়ানো হয়। ফিতার অপর প্রান্তটি যদি লাল অংশে মেশে তাহলে গুরুতর অপুষ্টি, হলুদ অংশে মিশলে সামান্য অপুষ্টি, আর যদি ফিতার প্রান্তটি সবুজ রঙে মেশে তাহলে ধরে নেওয়া হয় শিশুর মধ্যে অপুষ্টি নেই।
iv. দেহত্বকের ভাঁজ পরিমাপ: দুই আঙ্গুলের সাহায্যে ডান হাতের ট্রাইসেপসের ত্বক এবং স্ক্যাপুলার নীচের ত্বক টেনে ক্যালিপার যন্ত্রের সাহায্যে মেপে জানা যায় ত্বকের নীচে সঞ্চিত ফ্যাটের পুরুত্ব। যদি ফ্যাটের পুরুত্ব বেশি হয় তাহলে অতিপুষ্টি, পুরুত্ব যদি কম হয় তাহলে বুঝতে হবে ঊনপুষ্টি, আর যদি ফ্যাটের পুরুত্ব স্বাভাবিক থাকে তাহলে বুঝতে হবে পুষ্টিগত কোনো সমস্যা নেই। স্বাভাবিক দেহত্বকের ভাঁজের পুরুত্ব 10mm এর বেশি হয়।
v. মাথা ও ছাতির পরিধি: শিশু জন্মের এক বছর পর ছাতির পরিধি মাথার পরিধির থেকে বেশি হয়। প্রোটিন এনার্জি ম্যালনিউট্রিশনের ক্ষেত্রে শিশুর মাথা ছাতির তুলনায় বড়ো হয়। মাথার চারপাশে ফিতে জড়িয়ে মাপ নেওয়া হয়। মাথার স্বাভাবিক মাপ 16 সেমি।
vi. দেহ ভর সূচক (BMI): কোনো ব্যক্তির পুষ্টির মান নির্ণয়ের জন্য এক প্রকার সূচক হল দেহ ভর সূচক বা Body Mass Index (BMI) এটিকে মেদাধিক্য মাপার সূচকও বলা হয়। এটির অপর নাম হল কোয়াটলেট ইনডেক্স। BMI নির্ণয়ের সূত্রটি হল BMI = ব্যক্তির দেহের ওজন (kg)/ব্যক্তির উচ্চতা (m square) অর্থাৎ ব্যক্তির ওজনকে তার উচ্চতা স্কয়ার(বর্গ) দিয়ে ভাগ করা হয়।
vii. বালার সাহায্যে পরীক্ষা: 4 সেমি ব্যাসবিশিষ্ট একটি বালা কোনো শিশুর হাতে পরালে বালাটি যদি কনুই এর ওপরে উঠে যায় তাহলে বুঝতে হবে শিশুটি অপুষ্টির শিকার।
viii. কোমর ও নিতম্বের পরিধির অনুপাত: মানবদেহে কি পরিমাণ ফ্যাট সঞ্চিত আছে তা কোমর ও নিতম্বের পরিধির অনুপাত থেকে জানা যায়। স্বাভাবিক পুরুষের কোমর ও নিতম্বের অনুপাত 1:1 এবং মহিলার কোমর ও নিতম্বের অনুপাত 4:5।
BMI নির্ণয়ের উদ্দেশ্যগুলি লেখো। BMI ও পুষ্টিগত অবস্থার সম্পর্ক একটি সারণির মাধ্যমে দেখাও।
BMI নির্ণয়ের উদ্দেশ্য:
i. কোনো ব্যক্তির পুষ্টিমাত্রা নির্ণয় BMI নির্ণয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।
ii. মেদাধিক্য নির্ধারণ।
BMI ও পুষ্টিগত অবস্থার সম্পর্ক:
BMI ও পুষ্টিগত অবস্থার সম্পর্ক
Nutrition long question answer for class 11 WBCHSE board. Class 11 nutrition notes. Assessment of nutritional status. ABCD methods class 11. Nutrition suggestion for class 11th students.
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.