Peptic Ulcer |
Causes of peptic ulcer
Principles of preparing diet chart for peptic ulcer patient
পাক অন্ত্রীয় নালিকার কোনো অংশ পাকস্থলীর রসের HCL এর সংস্পর্শে এসে শ্লেষ্মাস্তরে ক্ষত হলে পেপটিক আলসার রোগের সৃষ্টি হয়।
পেপটিক আলসার প্রধানত গ্রাসনালীর নিম্নাংশে ঘটে। এই আলসার যখন পাকস্থলীর মধ্যে দেখা দেয় তখন তাকে গ্যাস্ট্রিক আলসার বলে।
আলসার রোগের লক্ষণ:
i. পেটে অসহ্য ব্যথা হয় এবং জ্বালা হয়।
ii. রোগী অনেকসময় রক্ত বমি করে।
iii. রোগীর দেহের ওজন হ্রাস পায়।
iv. রোগীর মলের রং কালো বর্ণ ধারণ করে।
v. খাদ্য গ্রহণের দুই ঘণ্টা পরেই আবার ক্ষিদে অনুভব করে।
'A disease due to hurry worry and curry' - কোন রোগকে বলা হয়? এই রোগের কারণগুলি লেখো।
A disease due to hurry worry and curry - পেপটিক আলসার রোগকে বলা হয়।
আলসার রোগের কারণ
পেপটিক আলসার রোগের কারণ:
বিভিন্ন কারণে পেপটিক আলসার রোগ হতে পারে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করা হল -
i) পেপটিক আলসার রোগের প্রধান কারণ হল 'hurry' অর্থাৎ যে কোনো কাজে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করা, 'worry' অর্থাৎ সবসময় অত্যন্ত দুশ্চিন্তা করা বা মানসিক উদ্বেগ, এবং 'curry' অর্থাৎ অত্যধিক ঝালমশলাযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। এই কারণের জন্য এই রোগকে 'A disease due to hurry worry and curry' বলা হয়।
ii) পাকরসে HCL বেশি ক্ষরণ হলে এই রোগ হয়।
iii) যে সকল ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে চা, কফি, মদ পান, ধূমপান করে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।
iv) NSAIDS জাতীয় ওষুধ দীর্ঘদিন গ্রহণ করলে এই রোগ দেখা যায়।
v) দীর্ঘদিন ধরে কম প্রোটিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে এই রোগ দেখা দেয়।
vi) যেসব মানুষের রক্তের গ্রুপ 'O' তারাই বেশি পেপটিক আলসার রোগে ভোগে।
vii) সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে Helicobacter pylori নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ী।
পেপটিক আলসার রোগীর খাদ্যতালিকা প্রস্তুতির মূলনীতি সম্পর্কে আলোচনা করো।
আলসার রোগের চিকিৎসা
পেপটিক আলসার রোগীর খাদ্যতালিকা প্রস্তুতির মূলনীতি:
পেপটিক আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তির পথ্য হবে স্নিগ্ধ, অনুত্তেজক ও ঝালমশলাবিহীন। আক্রান্ত রোগীকে কম পরিমাণে খাবার অল্প সময়ের ব্যবধানে বারে বারে খাওয়ানো উচিত। রোগী খাওয়ার সময় যাতে তাড়াহুড়ো না করে এবং ধীরে ধীরে চিবিয়ে খায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
পুষ্টিগত চাহিদা:
i) শক্তি:- বয়স, পেশা, লিঙ্গ প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে উপযুক্ত ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে।
ii) কার্বোহাইড্রেট:- প্রয়োজনীয় ক্যালোরির 40 - 50% কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য থেকে আসা উচিত।
iii. প্রোটিন:- স্বাভাবিক, সুস্থ মানুষের তুলনায় 50 শতাংশ অতিরিক্ত প্রোটিন দেওয়া প্রয়োজন। মোট প্রোটিনের 50 শতাংশ দুধ থেকে আসা দরকার।
iv. ফ্যাট:- আক্রান্ত রোগীর মোট শক্তি চাহিদার 40 শতাংশ ফ্যাট থেকে আসা বাঞ্ছনীয়। দৈনিক মোট শক্তি চাহিদার অর্ধেকটাই দুধ থেকে গ্রহণ করতে হবে। বাকি অর্ধেক অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিডপূর্ণ উদ্ভিজ্জ ফ্যাট অর্থাৎ সূর্যমুখী তেল, তিলের তেল ইত্যাদি থেকে গ্রহণ করতে হবে।
v. ভিটামিন:- পর্যাপ্ত পরিমাণে সব ধরনের ভিটামিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। দৈনিক একটি করে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেতে হবে। প্রতিদিন 500mg ভিটামিন C গ্রহণ করতে হবে, কারণ ভিটামিন C ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
vi. মশলাযুক্ত খাবার:- ঝালমশলাযুক্ত খাবার সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। কারণ ঝালমশলাযুক্ত খাবার পৌষ্টিকনালিকে উত্তেজিত করে।
vii. পানীয়:- চা, কফি, অ্যালকোহল প্রভৃতি উত্তেজক পানীয় পাকরসের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে, তাই এই জাতীয় পানীয় বর্জন করতে হবে।
tags:
causes of peptic ulcer
diet chart for peptic ulcer patient
preparing diet chart
class 12 nutrition
hs nutrition notes
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.