Fruit preservation methods
ফল সংরক্ষণের বাণিজ্যিক পদ্ধতি
ফল সংরক্ষন:- গাছ থেকে ফল সংগ্রহের পরে, ফলকে দীর্ঘদিন যাবৎ সতেজ ও ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
ফল সংরক্ষণের উদ্দেশ্য:-
i) ছত্রাক, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে ফলকে রক্ষা করা।
ii) ফলের রং, গন্ধ, আকৃতি ও পুষ্টিমূল্য বজায় রাখা।
iii) বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক বস্তুর বিষক্রিয়া থেকে ফলকে বাঁচিয়ে রাখা।
iv) সারাবছর ধরে প্রয়োজনমতো ফলের চাহিদা পূরণ করা।
ফল সংরক্ষণের পদ্ধতি:- সাধারণ পদ্ধতি অর্থাৎ বাড়িতেই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে কম সংখ্যক ফলকে সংরক্ষন করা যায়। এছাড়া বেশি পরিমাণে ফলকে সংরক্ষন করার জন্য বাণিজ্যিক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। ফল সংরক্ষণের এই বাণিজ্যিক পদ্ধতিগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল -
ফল সংরক্ষণের বাণিজ্যিক পদ্ধতি:-
i) হিমঘরের মাধ্যমে সংরক্ষণ:- বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ফল হিমঘরে রেখে বাণিজ্যিকভাবে সংরক্ষন করা হয়। এক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ঠিক উপরে রাখা হয়। বাজারে সারাবছর ধরে আমরা যেসব ফল পাই, তার অধিকাংশই হিমঘরে মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় থাকে।
ii) আধারীকরণ বা ক্যানিং:- টিনের পাত্রে খাদ্য সংরক্ষণের নাম আধারীকরণ বা ক্যানিং। উচ্চ তাপযুক্ত বাষ্পের সাহায্যে খাদ্য বস্তুকে জীবাণুমুক্ত করে নিয়ে বিশুদ্ধ পাত্রে সিক করে রাখা হয়। ক্যানিং এর মূল উদ্দেশ্য হল বায়ু বা জীবাণুদের হাত থেকে খাদ্যকে রক্ষা করা।
ফলের সিরাপ, সস, আনারস, আম, এপ্রিকট ইত্যাদি ফলে তৈরি খাদ্যকে ক্যানিং এর দ্বারা সুরক্ষিত করা যায়।
iii) বিকিরণ:- অতি বেগুনি রশ্মি ও আয়নিত বিকিরণের মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস করেও বিভিন্ন ফলকে সংরক্ষিত করা যায়। এই পদ্ধতিতে ফলের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে, যায় ফলে ফল পাকতে দেরি হয়। তবে এই ব্যবস্থায় ফল সংরক্ষন স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
iv) শুষ্ক করণের মাধ্যমে সংরক্ষণ:- শুষ্ক করন হল ফল সংরক্ষণের একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। সারা পৃথিবীতে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে প্রচলিত। এই পদ্ধতির বিশেষত্ব হল, ফল থেকে জলকে অপসারণ করা। সাধারণত চড়া রোদে শুকিয়ে কিংবা বায়ুপ্রবাহের দ্বারা অথবা তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ফল থেকে জল নিষ্কাশনের কর হয়।
এই পদ্ধতিতে কিশমিশ, খেজুর, কুল প্রভৃতি সংরক্ষন করা হয় থাকে।
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box.